অন্ধ্র প্রদেশে পুলিশ ২০জন কাঠুরিয়াকে গুলি করে মেরেছে

নয়াদিল্লি থেকে আলতাফ আহমেদ
2015.04.07
Share on WhatsApp
Share on WhatsApp
Ind-killing অন্ধপ্রদেশের চিত্তর জেলার বনাঞ্চলে লাল চন্দনকাঠের কাঠুরিয়াদের গুলি করে মারে পুলিশ। ছবিঃ ৭ এপ্রিল,২০১৫
এএফপি

গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল)অন্ধ্র প্রদেশের বনাঞ্চলে দুইটি পৃথক অভিযানে কথিত ‘রেড সেন্ডার’ চোরাকারবারীকে গুলি করে মারে।

‘রেড সেন্ডার’ জঙ্গলের বিরল প্রজাতির লাল চন্দন কাঠের গাছ যা থেকে বিশেষ মাদক,বাদ্যযন্ত্র ও ফার্নিচার বানানোর কাজে লাগে যার ব্যপক চাহিদা রয়েছে বিদেশে।

এতোগুলো মানুষকে মেরে ফেলায় ভারতে অধিকার কর্মিদের মধ্যে ব্যপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পিপল’স ইউনিয়ন অভ সিভিল রাইটস এই হত্যার নিন্দা করেছে এবং তদন্তের দাবি করেছে।

পিইউসিএল-এর জেনারেল সেক্রেটারি ডঃ ভি নারেশ বেনার নিউজকে ফোনে চেন্নাই থেকে জানায়, “ যাদেরকে মারা হয়েছে তারা ছিলো দিনমজুর হিসেবে চোরাকারবারীদের সাথে কাজ করছিলো, এ দিয়ে তাদের ভাত-কাপড় জুটতো।পুলিশ তাদেরকে না মেরে নিয়ম অনুযায়ী হাটুর নিচে গুলি বা তাদেরকে আহত করতে পারতো”।

তিনি বলেন, “ চোরাকারবারীদের পেছনে রাজনিতিবিদ ও সিনিয়র অফিসাররা রয়েছে তারা কখনো তাদের অপরাধের জন্য ধরা পড়েনা।ঠান্ডা মাথায় যারা নিরস্ত্র জনগনকে মেরেছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের সাজা দেবার দাবি জানায় পিইউসিএল”।

পুলিশ বলেছে, তারা আত্নরক্ষার জন্য গুলি করতে বাধ্য হয়েছে যখন চোরাকারবারীরা তাদের উপর আক্রমন চালায়। পৃথক ঘটনায় পাচ্চিনাদু বান্দায় ১১ জন ও ইটাগুন্তা ফরেস্টে ৯ জন গুলিতে মারা যায়।
ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এম কান্তা রাও ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসকে জানায়, প্রায় ১০০ জন চোরাকারবারী গাছ কাটছিলো তারা পুলিশের উপর আক্রমন চালায়।“ তারা ধারালো কুঠার ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে এই আক্রমন করে।পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছে”।

চিত্তর জেলার দোকানদার সান্তস কুমার বেনার নিউজকে জানায়, “ধুর্ত চোরকারবারীরা যারা কয়েক বছর ধরে এই কারবার করে আসছে তারা সাধারন শ্রমিকদের উপর নির্মমভাবে গুলি করার জন্য পুলিশকে সুযোগ করে দিয়েছে, অথচ ওরা দিন এনে দিন খেয়ে বেচে থাকতো”। তার মতে পুলিশ যদি চোরাকারবারীদের সাথে চক্র গড়ে না তুলতো তাহলে অনেক আগেই এই ব্যবসা বন্ধ হতো।


চিত্তর জেলার বিরলজাতের এই গাছের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অভ ন্যাচার’স এই লাল জাতের চন্দন কাঠের মূল্য নির্ধারন করেছে ১০০০ কিলোগ্রাম ২৫ লাখ রুপি (৪০,১৭০ ডলার)।

পুলিশ ২০১৪ এর মে মাসে চিত্তর জেলায় ৩ চোরাচালানীকে গুলি করে মারে। ৩ হাজারের বেশি চোরাচালানীকে গ্রেফতার করে। ২০১৩ সালে ২,০২৫ টন লাল চন্দন কাঠ আটক করে।
তামিলনাড়ুর মূখ্যমন্ত্রী পান্নিরসিলভাম এই হত্যাকান্ডের নিন্দা করে ও ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।