স্বাধীনতার ৫০ বছর: মোদিবিরোধী বিক্ষোভে নিহত পাঁচ

জেসমিন পাপড়ি
2021.03.26
ঢাকা
স্বাধীনতার ৫০ বছর: মোদিবিরোধী বিক্ষোভে নিহত পাঁচ ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের পর মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ২৬ মার্চ ২০২১।
[এএফপি]

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ঢাকা আসার পর তাঁর সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক।

মোদির সফর বিরোধিতার জেরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রামে চার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

নিহতদের সবাই হেফাজতে ইসলামের কর্মী বলে সংগঠনটি দাবি করেছে। এর প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম। 

অন্যদিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের পর পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। 

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, মাদ্রাসা-ছাত্ররা রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। এতে বিকেল চারটা থেকে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। 

নিহত পাঁচ, রোববার হরতাল ডেকেছে হেফাজত

নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পা রাখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশ ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু হয়। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বেনারকে বলেন, “হাটহাজারীতে সংঘর্ষের পর সেখান থেকে আহত অবস্থায় আটজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।”

নিহতদের তিন জন মাদ্রাসা ছাত্র, অন্যজন মাদ্রাসার পাশের একজন স্থানীয় দোকানদার বলে জানান তিনি। 

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বেনারকে বলেন, “পুলিশের গুলিতে আমাদের চারজন মারা গেছেন, আরও ১০-১২ জন আহত হয়েছে।” 

“আমরা জুমার নামাজের পরে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেছিলাম। পুলিশ কারণ ছাড়াই বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে,” বলেন তিনি। 

পুলিশ জানায়, নিহতরা হলেন; রবিউল ইসলাম (২৩), মেরাজুল ইসলাম (২২) মিরাজুল ইসলাম, জামিল (২০) ও মিজান (৪০)।  

এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শুক্রবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। বিকেলে শহরের কাউতলি এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলার সময় আশিক (২৪) নামে এক যুবক নিহত হন।

“সংঘর্ষের ঘটনায় কিছু লোক এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বিক্ষোভকারীরা তাঁর মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়ে,” বেনারকে বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন। 

নিহত ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ ছিলেন কিনা এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত ২৫ জন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান শওকত হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ করেন বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্যরা। পুলিশও এ সময় টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। 

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও কয়েকজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। পাশাপাশি শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী। 

ঢাকায় আহত অর্ধশতাধিক

বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের একাংশ মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করলে তাঁদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ কয়েক দফা কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

“সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে,” সাংবাদিকদের জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল। 

সংঘর্ষের পর অন্তত ৫৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া। 

‘প্রতিবাদ অধিকার তবে সহিংসতা অপ্রত্যাশিত’

নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বেশ কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী ও বাম রাজনৈতিক সংগঠন।

এ সফর ঘিরে কোনো অপচেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না বলে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দেয় পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে প্রতিবাদকারীরা মোদি বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবারেও মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। 

এর আগে মঙ্গলবার এই সফরের বিরোধিতা করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিলে হামলা চালায় সরকারি ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এহসানুল হক বেনারকে বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু যে সহিংসতা ও সংঘর্ষ হচ্ছে সেটা খুবই দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত।” 

“নরেন্দ্র মোদির অতীতের সাম্প্রদায়িক ইমেজের কারণে এই বিরোধিতা করা হচ্ছে,” জানিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে এর প্রাসঙ্গিকতা নেই।” 

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক উল্লেখ করে এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের পাশে ছিল। সেই কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ব্যক্তি মোদি নন, বাংলাদেশে এসেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদি।” 

তবে এ ধরনের বিরোধিতা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ তিনি বলেন, “দুদেশের সম্পর্ক এখন অন্যরকম উচ্চতায় পৌঁছেছে।”

তিস্তাসহ দুদেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো এ সফরে আলোচনা বা সমাধান না হলেও অধ্যাপক এহসানের মতে, “করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও মোদির এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয়।” 

“এটা মূলত শুভেচ্ছা সফর। তবে এই সফর পরবর্তীতে তিস্তা বা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের সুযোগ প্রসারিত করবে,” বলেন তিনি। 

modi2.jpg
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ডানে)। ২৬ মার্চ ২০২১। [এএফপি]

একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ–ভারত: মোদি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আয়োজনে যোগ দিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের কাছেই গণতন্ত্রের শক্তি আছে, এগিয়ে যাওয়ার দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের জন্য সমান জরুরি।”

বাণিজ্য ও শিল্পে একই ধরনের সম্ভাবনার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিপদও সমান রয়েছে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিত হতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “একটি স্থিতিশীল এবং রাজনৈতিক–অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।” 

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা করে বাংলাদেশ। 

এর আগে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। 

মোদির সফরসূচি

সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দির ও গোপালগঞ্জে ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দির পরিদর্শন করবেন। এরপর বিকেলে ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুদেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এসবের মধ্যে সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ক সহযোগিতা, পরিবেশগত সুরক্ষায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক এবং দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস এবং ভারতের সঙ্গে মেহেরপুরে সংযোগকারী স্বাধীনতা সড়ক ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। 

নরেন্দ্র মোদি উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১২ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনও হস্তান্তর করবেন।

এর আগে সকাল সাড়ে দশটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।