বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরাজয়, আওয়ামী লীগের গন্তব্য কোথায়

শরিফুজ্জামান পিন্টু
2025.01.02
ঢাকা
বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরাজয়, আওয়ামী লীগের গন্তব্য কোথায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের বিজয়ের উল্লাস। ৫ আগস্ট ২০২৪।
[মো: হাসান/বেনারনিউজ]

টানা দেড় দশকের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ নতুন বছরের শুরুতে এসে প্রায় অস্তিত্বশূন্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দলটির টিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।

পাশাপাশি, দলকে টানা সাড়ে চার দশক নেতৃত্ব দেয়া শেখ হাসিনার (৭৭) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতিতে চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ।

“এত দুর্নীতি, দুঃশাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও গত পাঁচ মাসে দলটির পক্ষ থেকে এর প্রধান বা অন্য কেউ ক্ষমা চাওয়া দূরে থাক, সামান্য দুঃখ প্রকাশ করেনি, শেখ হাসিনাও মনে করেন যে, তিনি কোনো ভুল করেননি,” বেনারকে বলেন দেশের প্রবীণ বাম রাজনীতিবিদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষমা চাইবেন কি না জানতে চাইলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম অজ্ঞাত স্থান থেকে বেনারকে বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের কাছে আমাদের দল সবসময় বিনয়ী। উপযুক্ত সময়ের উপযুক্ত উচ্চারণ আমরা জানি।”

উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে, যার অনেকগুলোই আদালতে প্রমাণের অপেক্ষায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগকে ঘিরে রাজনীতিতে চারটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী? শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু? দলের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতারা আর কতদিন লুকিয়ে থাকবেন? জাতীয় নির্বাচনে দলটি অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে কী?

প্রসঙ্গ: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ

বর্তমান সরকারকে “পক্ষপাতদুষ্ট” হিসেবে আখ্যায়িত করলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় বলে বেনারকে জানিয়েছেন বাহাউদ্দিন নাছিম।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। সরকারের কেউ এ প্রসঙ্গে কথা বললে বিব্রতর অবস্থায় পড়ছেন।

“বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মেনে নিতে পারছে না যে দলটি স্বাভাবিক রাজনীতি করতে পারে,” বেনারকে বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আবদুল লতিফ মাসুম।

“আওয়ামী লীগ পর পর তিনটি অবৈধ নির্বাচন করেছে। এরপর তাদের নির্বাচন করার সুযোগ থাকে কীভাবে?,” প্রশ্ন রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বলে আসছেন, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক।

তবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখার পক্ষে নয় বিএনপি। এ প্রসঙ্গে দেশের বাইরে অবস্থান করা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার বেনারকে বলেন, “আমরা আশা করি আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচনে কাউকে বাদ দিতে চাইলে জনগণই বাদ দেবে বা প্রত্যাখ্যান করবে।”

“কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে,” যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার ক্ষেত্রে বিশাল বাধা রয়েছে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম।

তাঁর মতে, “চারদিকে এত আক্রোশ যে, দলটি ফিরতে চাইলে সবাই মিলে প্রতিহত করবে।”

এদিকে সরকার বা আদালত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই বলে গত সোমবার চট্টগ্রামে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষ থেকে আগামী বছরের প্রথম দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে গত ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

297e14a6-b370-413f-9463-61642756cdee.jpeg
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের বিজয়ের উল্লাস। ৫ আগস্ট ২০২৪। [মো: হাসান/বেনারনিউজ]

দলে হাসিনার নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ নেই

গত আগস্টে ছাত্র ও গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেবার পরে দলের জাতীয় ও তৃণমূলের নেতারা দেশে ও দেশের বাইরে গা ঢাকা দেওয়ায় দলটি বর্তমানে অনেকটাই অভিভাবকশূন্য।

শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মাঝেমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন। তবে দলে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের মতে, “এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ মানে শেখ হাসিনা, ওই দলে অন্য নেতার কথা মূল্যহীন। এখনও সেই অবস্থা আছে।”

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর “চলমান অন্যায় ও নৈরাজ্যের কারণে” আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে বলে দাবি করেন বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনার অভাব অনুভব করছে জনগণ। সুতরাং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠার কিছু নেই।”

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ২১ বছর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে দলটি। এখনও নির্বাসিত জীবনে দলটির নেতৃত্বে শেখ হাসিনা, পরিবার বা দলে যার বিকল্প নিয়ে তেমন আলোচনা নেই।

বিএনপি কেন নির্বাচনে আ.লীগকে চায়?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ভোটের অনুপাত প্রায় কাছাকাছি বলে ধরে নেওয়া হয়। নব্বই পরবর্তী দুই দশকের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁরা চান আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক।

বিএনপির এই উদারতাকে কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে অনেকেই বলছেন, নির্বাচনে বা সংসদে বিএনপিকে ছাড়া আওয়ামী লীগ যেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, তেমনি আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বেনারকে বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক আইন বিএনপি মেনে চলে-এগুলোর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ দলটির নেই।

“তবে বিএনপির দাবি অপরাধীরা যেন অপরাধমুক্ত হয়ে জনগণের মুখোমুখি হয়। রাষ্ট্র যেন ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে,” বলেন শায়রুল।

শেখ হাসিনা ফিরতে পারবেন?

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব কিনা-রাজনীতিতে সেই প্রশ্ন উঠছে ঘুরেফিরে।

পুলিশের হিসেবে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দুই’শ ছাড়িয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পারবেন না। সম্প্রতি ডয়েচে ভেলেকে দেয়া এক বক্তব্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান বলেন, জীবদ্দশায় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে জাগিয়ে তুলতে পারবেন—এমনটা অনেকেই আর বিশ্বাস করেন না।

যদিও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বেনারকে বলেন, “ইতিহাসের ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করা কঠিন। শেখ হাসিনা বেশকিছু অন্যায় করেছেন, বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, এজন্য তার বিচার হওয়া দরকার।”

“কিন্তু ইতিহাস থেকে এই দল বা এর প্রধানকে মুছে ফেলাটা কঠিন,” বলেন ড. আনোয়ার।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে শেখ হাসিনাকে ইতিমধ্যে ফেরত চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের জবাব পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার কথা গত ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নির্ভর করবে দিল্লির রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী গত ১২ অক্টোবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মনে করি না, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বের করে দেবে।”

অন্যদের ব্যর্থতায় কদর বাড়বে আ.লীগের

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী বা নির্বাচিত সরকারের ব্যর্থতার মধ্যে সফলতা খুঁজবে আওয়ামী লীগ।

“আগের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে এখনকার শাসনব্যবস্থার পার্থক্য করা যায় না। আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অস্থিরতা-সবই তো একইরকম আছে,” বেনারকে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

ইতিহাসের এই অধ্যাপক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে অবহেলা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বরের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, বঙ্গবন্ধুর প্রতি অমর্যাদার বিষয়গুলোতে কিছু মানুষ খুশি হতে পারে। কিন্তু এগুলো অসংখ্য মানুষের মনে আঘাত দিয়েছে, যা তাদের জেগে উঠতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

“রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ তাই জনগণের কাছে ছেড়ে দেয়া উচিত,” মনে করেন লতিফ মাসুম।

আর সাবেক কূটনীতিক পিনাক রঞ্জন বলেন, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এটি এমন কোনো দল নয় যে, অদৃশ্য হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দমন-পীড়ন সত্ত্বেও দলটি জনগণের মাঝে বেঁচে আছে এবং থাকবে।

“আওয়ামী লীগ শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জনগণের সমর্থন নিয়ে বার বার নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছে,” যোগ করেন তিনি।

২০০৯ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নানা কৌশলে ক্ষমতা বদলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া রুদ্ধ করে তিন দফা ক্ষমতায় আসে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচন মানে জয়ের মতো পরাজয়েরও প্রস্তুতি থাকা। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেবল জয়ী হতে চেয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং সেনা সমর্থিত ১/১১ সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ সংকটে পড়লেও সেগুলো এখনকার মতো অস্তিত্ব সংকট তৈরি করেনি।

“আসলে এবারের সংকট সবগুলো ঘটনার তুলনায় ভিন্নধর্মী, যেখানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেকে, দলকে এবং অগণিত নেতা-কর্মীকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছেন। তাই আমার মতে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ শূন্য,” বলেন লতিফ মাসুম।

অবশ্য সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “পৃথিবীর বহু দেশে এমনকি এই বাংলাদেশেও পরাজিত শাসকেরা প্রবল প্রতাপে আবার রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা পারবেন কিনা, তা সময় বলে দেবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এ দেশে দাপটের সঙ্গে থাকবে, যা অনেকে বুঝলেও ভয়ের কারণে হয়তো বলছে না।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।