বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি পদে প্রধানমন্ত্রীর কন্যার প্রার্থিতা ঘিরে বিতর্ক
2023.10.27
ওয়াশিংটন ডিসি
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দুই প্রার্থীর একজন হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ, গত আগস্ট মাস যার কেটেছে বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সফর করে।
মায়ের সাথে সায়মা এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলন ও ভারতে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন, যেখানে শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে মেয়কে বিশ্বের তিন প্রভাবশালী নেতা- চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধানের পদের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করবে, যেখানে সায়মাকে তাঁর নেপালি প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবেলা করতে হবে। এই পদে সায়মার প্রার্থিতা বিষয়ে বাংলাদেশের তৎপরতা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমালোচনার তৈরি করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, যোগ্যতার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে হওয়ার কারণে তাঁকে জিতিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাব খাটাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে, তিনটি দেশে জাতিসংঘের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করা নেপালের বিশো পারাজুলি বলেন, “কাজ করে ফলাফল দেখাতে না পারার জন্য অনেক সময়ই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে সমালোচিত হতে হয়। আসলে এসবই ঘটে। কেননা, যখন অযোগ্য, অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পক্ষে তদ্বির আসে, তখন শেষ পর্যন্ত আর ফলাফলের দেখা মিলে না।”
সায়মা ওয়াজেদ একজন শিক্ষা মনোবিদ। অটিজম সচেতনতা নিয়ে কাজের জন্য তিনি পরিচিত। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নেপালের শম্ভু আচার্য একজন প্রবীণ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তাঁরা দুজন ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য লড়ছেন।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ এই আঞ্চলিক শাখার আওতাভুক্ত এগারোটি দেশে বসবাস করে এবং যার বার্ষিক বাজেট ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
গত জুলাইতে বিশ্বের ৬০ জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধানের পদে নির্বাচনের বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে একটি যৌথ চিঠি লিখেছেন। তাঁদের অনেকেই ওই পদে সায়মার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় ভারতের দি টেলিগ্রাফ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে এই পদের প্রত্যাশিত যোগ্যতাগুলোর অন্যতম হলো, জনস্বাস্থ্যে কারিগরি দক্ষতা ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা।
সায়মা ফ্লোরিডার ব্যারি ইউনিভার্সিটি থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন এবং স্কুল সাইকিয়াট্রিস্ট (শিক্ষা মনোবিদ) হিসেবে অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানব সম্পদ উন্নয়নে পিএইচডি করছেন।
শেখ হাসিনার সরকারে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন। পাশাপাশি, তিনি ইংল্যান্ডের চ্যাথাম হাউসের অন্তর্ভুক্ত ইউনিভার্সাল হেলথ কমিশনের একজন সদস্য, যেখানে রাজনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশের একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন গত মার্চে। তিনি ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটির জন্য তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকসহ স্থানীয় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দশ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করে দিয়েছেন।
জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব কুল চন্দ্র গৌতম যুক্তরাজ্যের দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, “তিনি একজন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে না হলে এই পদে প্রার্থিতার জন্য বিবেচিত হতেন বলে মনে হয় না আমার,”
সায়মা’র জীবনবৃত্তান্তকে “নেহায়েত হালকা” অভিহিত করে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ কাঠামো বা ডব্লিউএইচওর মতো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির সঙ্গে তা যায়না …এটি স্পষ্টতই স্বজনপ্রীতি।”
সায়মার প্রতিদ্বন্দ্বী নেপালের প্রার্থী শম্ভু আচার্য নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্যে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ৩০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।
বর্তমানে ডব্লিউএইচও-র ছয়জন আঞ্চলিক পরিচালকের প্রত্যেকেই পিএইচডি ডিগ্রিধারী। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজে বা চিকিৎসক হিসেবে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাঁদের কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট সায়মার প্রার্থিতা বিতর্ক নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ডাব্লুএইচও’র তিনটি আঞ্চলিক পদের জন্য বর্তমানে অন্য যে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই পিএইচডি অথবা একটি মেডিকেল ডিগ্রী রয়েছে।
শুধু নিবন্ধ প্রকাশ নয়, সায়মার মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি সম্পাদকীয় লিখেছে দ্য ল্যানসেট। তাঁর মনোনয়নে স্পষ্ট স্বজনপ্রীতি নিয়ে সমালোচনার কথা উল্লেখ করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, “এই ধরনের উদাহরণ ডব্লিউএইচও’র নেতাদের সততার প্রতি আস্থা নষ্ট করে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সচিবালয় নির্বাচন ঘিরে এই সমালোচনার কোনো উত্তর দেয়নি। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা চালিত হয়।”
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সাড়া দেননি সায়মা ওয়াজেদ। তবে সাম্প্রতিক একটি ব্লগ পোস্টে, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের সমালোচনাকে “পুরুষতান্ত্রিক” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ফিনান্সিয়াল টাইমস সায়মা বলেন, “আমি জানি না আমার যোগ্যতা নিয়ে কেন এত প্রশ্ন আসে! এটা শুধুমাত্র আমি একজন মুসলিম নারী হওয়ার কারণে, নাকি আমার মা একজন রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণে! তবে আমি এই ধরনের সমালোচনায় অভ্যস্ত।”
রাজনৈতিক-কূটনৈতিক তদ্বির
বাংলাদেশ দৃশ্যত সায়মা ওয়াজেদের আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন জমা দেওয়ার কয়েক বছর আগে থেকে এই পদটির দিকে নজর রাখছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ গেলে যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশ স্বীকার করেছিল, বাংলাদেশ এই পদের জন্য যাকে প্রস্তাব দেবে ভারত তাঁকে সমর্থন করবে।
চলতি বছরের আগস্টে যখন সায়মাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে তঁকে বৈশ্বিক নেতাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে এবং ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন তিনি সায়মাকে সঙ্গে নিয়ে যান এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো বিশ্বনেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
ডাব্লুএইচও ওয়েবসাইটে পোস্টকৃত প্রচারাভিযান ঘোষণা অনুসারে সায়মা তিমুর লেস্টে (পূর্ব তিমুর) গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ দেশটির সমগ্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে তিনি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের সাথে ইন্দোনেশিয়াও ভ্রমণ করেছিলেন। সেখানে তিনি ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
ডাব্লুএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ১১ ভোটদানকারী সদস্যের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া এবং পূব তিমুর উভয় দেশই রয়েছে।
বিভিন্ন দেশের নেতাদের সাথে কয়েকটি বৈঠকে সায়মার সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার সাথে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ড. মোমেন সায়মার প্রতিদ্বন্দ্বীর কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি শম্ভু আচার্যকে নির্বাচন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
“[নেপালের প্রার্থী] গত ৩০ বছর ধরে ডাব্লুএইচও-তে কাজ করছেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদে ছিলেন। তাহলে কেন সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে [স্বাস্থ্য সূচক] উন্নতি হয়নি? অথচ তিনি নিজে একজন দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত!” বলেছিলেন মোমেন।
শম্ভু আচার্য সরাসরি মন্ত্রীর অভিযোগের উত্তর দেননি। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’র প্রমাণ দেখিয়েছেন।
শম্ভু বেনারকে বলেন, “গত ৩০ বছরে স্বাভাবিক মৃত্যু, মাতৃমৃত্যু এবং অন্যান্য ধরনের মৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। আমি মনে করি, যে পড়তে পারে সেই জানতে পারবে কতটা অগ্রগতি হয়েছে।”
“স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জন করা শুধু একজন ব্যক্তির দায়িত্ব নয়, এগুলো যৌথ দায়িত্ব,” বলেন তিনি।
সায়মার মনোনয়নকে ঘিরে বিতর্কের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও তিনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন।
নিজেদের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করা দেশগুলোর জন্য সাধারণ বিষয় বলে জানান বিগত ৪০ বছর ধরে জাতিসংঘের সিস্টেমে কাজ করা পারাজুলি।
“তবে জাতিসংঘের এই স্তরের কোনো পদে রাষ্ট্রপ্রধানের পুত্র বা কন্যাদের এগিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজেরাই লবিং করছেন, জাতিসংঘের ইতিহাসে এমন নজির আমি দেখিনি, বলেন তিনি।
“সুতরাং এটি একটি অত্যন্ত ব্যতিক্রম।”
সংবেদনশীল সমালোচনা
মামলা এবং গ্রেপ্তারের অনেক নজির থাকায় শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সমালোচনাকে বাংলাদেশে সংবেদনশীল বলে মনে করা হয়। দেশীয় সংবাদমাধ্যম এই বিতর্ক নিয়ে সংবাদ পরিবেশন থেকে মোটামুটি বিরত আছে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সায়মা ওয়াজেদের মনোনয়নের সমালোচনামূলক নিবন্ধটি ফেসবুকে শেয়ার করার কারণে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একজন অধ্যাপককে সম্প্রতি চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। একজন মন্ত্রী ও কলেজটির ভাইস প্রিন্সিপালসহ একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ইয়াসির আরাফাত গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে নিবন্ধটির একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছিলেন, “আমি মনোনয়ন দেখে অবাক হয়েছি এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে গুণমান এবং দক্ষতার কোনো মূল্য নেই। এখানে স্বজনপ্রীতিই সব।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান ঐ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বেনারকে তিনি বলেছেন, সায়মা ওয়াজেদের সূচনা ফাউন্ডেশনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তিনি বেনারকে বলেন, “ফেসবুকের পোস্টটি আমাদের নজরে আনা হয়। তারপর আমাকে বলা হলো, ‘আপনি আওয়ামী লীগের এমপি ও মন্ত্রী। আর আপনার মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষক যদি বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও শেখ হাসিনার কন্যার বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা লেখে, তাহলে কেমন দেখায়?”
সূচনা ফাউন্ডেশন বা সায়মা ওয়াজেদ কেউই মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে বেনারনিউজ মন্তব্যের অনুরোধ জানিয়ে তাঁদের কাছে লেখার দুই দিন পরে আরাফাতের চাকরি পুনর্বহাল করা হয়।