মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রতি বৈষম্য শিকার এক কৃতি শিক্ষার্থী

বিশেষ প্রতিবেদন
2020.08.27
200827_Rohingya_student_1000.jpg মেট্রিক পরীক্ষায় সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে স্কুলের এক শিক্ষকের কাছ থেকে উপহার হিসেবে আংটি গ্রহণ করছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহরের রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী মুহম্মদ আয়াজ (ডানে)।
[সৌজন্যে: আয়াজের পরিবার]

মিয়ানমারে একজন শিক্ষার্থী মেট্রিক পরীক্ষায় (এসএসসি সমমান) পাশ করা মানে তার যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবার কথা। কিন্তু একসঙ্গে ছয়টি বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেও আয়াজের জন্য বিষয়টি ভিন্ন রকম।

কারণ সে রোহিঙ্গা মুসলিম পরিবারের সন্তান। পশ্চিম রাখাইনের বুথিডং শহরে নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ আয়াজ মেট্রিক পরীক্ষায় অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেও সে জানে না আদৌ তার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পুরণ হবে কিনা।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। সেখানে পনেরো বছর বয়সী আয়াজের ইচ্ছা মেডিকেলে পড়ে ডাক্তার হয়ে সমস্ত জাতি ও সব ধর্মের মানুষের সেবা করবে।

“আমি একটি মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই। আমি যখন ডাক্তার হব তখন আমি মিয়ানমারের সমস্ত জাতিগোত্রের, বিশেষত রাখাইন রাজ্যের লোকদের চিকিৎসা দেবো,” বেনারনিউজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) মিয়ানমার সার্ভিসকে জানায় আয়াজ।

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে রাখাইন রাজ্যের ৪৯ হাজারের বেশি হাই স্কুল শিক্ষার্থী মেট্রিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ১২ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী পাশ করে।

এর মধ্যে সারা দেশে ছয়টি বিষয়েই একশতে ৮০ বা তার বেশি নম্বর পেয়ে সারা দেশে আয়াজসহ উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ২০ জন।

রাখাইন রাজ্যে বুথিডংয়ের রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য নৃগোষ্ঠী থেকে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী এ বছর মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

তবে ২০১৯ সালে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনেকেই নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে বাদ পড়েছে।

রাখাইনের প্রতিকূল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং এই অঞ্চলে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের ফলে মোট কী পরিমাণ শিক্ষার্থী এবছর ঝরে পড়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

পরীক্ষায় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ পাওয়া ট্রফি হাতে বাবা-মা ও ভাইদের সাথে রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহরে নিজের বাড়িতে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী মুহম্মদ আয়াজ (বাম থেকে দ্বিতীয়)।
পরীক্ষায় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ পাওয়া ট্রফি হাতে বাবা-মা ও ভাইদের সাথে রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহরে নিজের বাড়িতে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী মুহম্মদ আয়াজ (বাম থেকে দ্বিতীয়)।
[সৌজন্যে: আয়াজের পরিবার]

সাফল্যের স্বীকৃতি নেই

বুথিডঙের স্থানীয় বাসিন্দা এবং রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী সোয়ে টিং জানান, চলতি বছর ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫০’র বেশি মুসলিম শিক্ষার্থীর মধ্যে রাজধানী সিত্তের ৭৫ জনসহ মংডু-বুথিডং অঞ্চল থেকে প্রায় ২৪০ জন ছিল।

তবে দেশের তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আয়াজের মতো কেবলমাত্র উচ্চ স্কোরসহ পাশ করা শিক্ষার্থীরাই বিবেচনার যোগ্য হবে।

মিয়ানমারের তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি ইয়াঙ্গুনে এবং একটি মধ্য মিয়ানমারের শহর মান্ডালে অবস্থিত।

কিন্তু নাগরিকত্ব না থাকা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে মুসলমান শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

“প্রতি বছর আমি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের কথা শুনি যারা পাঁচ বা ছয়টি বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করে। তবে আমি কখনো শুনিনি সরকার তাদের কোনো প্রকার স্বীকৃতি দিয়েছে,” বলেন মানবাধিকার সংগঠন ফোর্টিফাই রাইটসের সঙ্গে যুক্ত মানবাধিকার কর্মী নিকি ডায়মন্ড।

৩২ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের খুব কম মানুষই কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তো অনেক দূরের কথা।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রাখাইন হলো মিয়ানমারের দরিদ্রতম রাজ্যগুলোর একটি, যেখানে দারিদ্র্যের হার ৭৮ শতাংশ, যা দেশটির জাতীয় দারিদ্র হারের (৩৭.৫৪) প্রায় দ্বিগুণ।”

দারিদ্রের পাশাপাশি কয়েক দশক ধরে জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কৃষিপ্রধান রাখাইন রাজ্য। ফলে সেখানে তরুণদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত।

জাতিগত রাখাইন এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২০১২ সালের জুনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় মারা যান ২০০ জনেরও বেশি, বাস্তুচ্যুত হন প্রায় এক লাখ বিশ হাজার।

বাস্তুচ্যুতদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা, যাদেরকে সংঘর্ষ প্রতিরোধের অজুহাতে পরবর্তীতে বাস্তুচ্যুত শিবিরে আটক রাখা হয়।

পাশাপাশি ওই দাঙ্গার পর রাখাইনের রাজধানী সিত্তেসহ অন্যান্য শহরে মুসলিম ছাত্রদের কলেজে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

তিন বছর আগে ২০১৭ সালে মিয়ানমার বাহিনী উত্তর রাখাইনের মংডু, বুথিডং এবং রাথেদাং এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নৃশংস তাণ্ডব চালায়। এতে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবার পাশাপাশি প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন।

রাখাইনে এখনো যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাঁরা শিকার হচ্ছেন চলমান বৈষম্য ও নির্যাতনের। রোহিঙ্গারা কয়েক শতাব্দি ধরে মিয়ানমারে বসবাস করলেও দেশটি তাঁদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না। বরং রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবে সেখানে গণ্য করা হয়।

বিদ্যমান ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং তাঁদের নাগরিকত্ব হরণ করা হয়েছে।

মুহাম্মদ আয়াজ ও তার পরিবারের বাসস্থান বুথিডং শহর ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময় তুলনামূলক নিরাপদ ছিল। কারণ মিয়ানমার বাহিনীর অভিযান ছিল মূলত গ্রামাঞ্চলে।

তবে নাগরিকত্বের অভাব এবং ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে এই কিশোরের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পুরণ নাও হতে পারে।

উচ্চ শিক্ষা ও নাগরিকত্বের সংকট

আয়াজের বড়ো ভাই মুহাম্মদ রেয়াজ জানান, “আয়াজের জাতীয় নিবন্ধকরণ কার্ড (এনআরসি) নেই, যা থাকলে সে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করার অনুমতি পেত। এর পরিবর্তে তাকে একটি জাতীয় যাচাই কার্ড (এনভিসি) দিয়েছে। এটি একটি সরকারি আইডি যা তাকে নাগরিক নয়, কেবল এখানকার বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করে।”

তিনি জানান, তাঁদের বাবাকেও এনভিসি কার্ড দেওয়া হয়েছে, যদিও তাঁর মাকে নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র অর্থাৎ এনআরসি দেওয়া হয়েছে।

“ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আমাদের যে কার্ড দিয়েছে, আমরা সেটাই নিতে বাধ্য হয়েছি। তবে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মতো আমরাও জাতীয় আইডি কার্ড চাই," বলেন রেয়াজ।

নাগরিক নয় বা বিদেশী এমন শিক্ষার্থীদের ১৯৬০ এর দশক থেকে মিয়ানমারের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি লাভের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ম্যাট্রিক পরীক্ষার গাইড বইতে বলা হয়েছে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাওয়া শিক্ষার্থীদের বাবা-মা উভয়েরই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। যেখানে আয়াজের শুধু মায়েরই রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র।

তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা আয়ে লুইন, যিনি একসময় রাখাইন রাজ্যের ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ সমাধানের বিষয়ে গঠিত সরকারি পরামর্শ কমিশনে যুক্ত ছিলেন; তিনি বলেন, স্কুলের হ্যান্ডবুকে যাই থাক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হ্যান্ডবুকে আছে অন্যকথা।

“বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হ্যান্ডবুক এবং প্রকৌশল বা চিকিৎসার মতো পেশাগত শিক্ষার কলেজের হ্যান্ডবুকগুলোতে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত তিনটি ধরনের মধ্যে যেকোনো ধরনের নাগরিকত্বই হোক না কেন, তারা শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়,” আরএফএকে বলেন আয়ে লুইন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবুকে এমন কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না বলে জানান আয়ে লুইন।

তিনি বলেন, “বিদ্যমান আইন ও বিধিগুলো সাধারণ মানুষের জন্য বাস্তবিক অর্থে প্রযোজ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগ ভর্তির আবেদনপত্রগুলো বিবেচনা করে তারা নিজেদের মতো তাদের নিয়মকানুন বানিয়ে নেয়।”

মিয়ানমারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন মৌলিক শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক কো লে উইন বলেছেন, “এনভিসি কার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হলেও তাঁদের আগে উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুমোদন নেওয়ার দরকার রয়েছে।”

তবে এবিষয়ে মন্তব্যের জন্য উচ্চশিক্ষা বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।

নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই

মুহাম্মদ আয়াজ উচ্চশিক্ষা বিভাগের কাছ থেকে এই অনুমোদন পেলেও উত্তর রাখাইন রাজ্যের মুসলমানদের উপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আর একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে তার জন্য।

ফরটিফাই রাইটসের সঙ্গে যুক্ত অধিকার কর্মী নিকি ডায়মন্ড বলেছেন, “নাগরিকত্ব সমস্যা ছাড়াও, রোহিঙ্গাদের ইয়াঙ্গুন বা দেশের অন্য যে কোনো জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্র্যাভেল পারমিটের প্রয়োজন হয়। যদি সরকারের কাছ থেকে ভ্রমণের অনুমতি না পাওয়া যায়, তবে তারা মিয়ানমারে মূল ভূখণ্ডের কলেজে যেতে পারবে না।"

রাখাইনের রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য মুসলমানরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলে শিক্ষা এমনকি চিকিৎসার জন্যেও রাজ্যের বাইরে যেতে পারেন না।

মুসলিম শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেওয়া হলেও তা সাধারণত সিত্তের বিশ্ববিদ্যালয় বা টাউংগোক ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনার অনুমতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

তবে বাস্তবে বেশিরভাগ মানুষ এই শহরগুলোতে যেতে চান না। কারণ সেখানে তাঁরা অন্যান্য বিধিনিষেধ এবং জাতিগত উত্তেজনার মুখোমুখি হন। তাই দশম শ্রেণির পরেই মুসলিমদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হয়ে যায়।

“যেসব মুসলমান কলেজে যান, সরকার তাঁদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় না। বুথিডং এবং মংডুতে কিছু শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে তারা কলেজে পড়তে গেলে তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে,” বলেন রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী সোয়ে টিং।

তবে যে শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদের মেডিকেল কলেজ এবং অন্যান্য পেশাদার প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান বুথিডং এলাকার এক শিক্ষা কর্মকর্তা মঙ টিন অঙ।

“অন্য যারা পাশ করেছে কিন্তু অনার্স পায়নি তারা রাখাইন কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে দূরবর্তী শিক্ষার কোর্স নিতে পারে এবং সময়ে সময়ে বুথিডং এবং মংডুতে তাদের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে পারে,” বলেন তিনি।

তবে মিয়ানমারে দূর-শিক্ষণের ক্ষেত্রে শুধু বার্মিজ এবং ইতিহাস – এই দুটি বিষয়ে পাঠ গ্রহণের ব্যবস্থা আছে।

আয়াজের ব্যাপারে তার পরিবার বলেছে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাড়া তার আর কোনও পরিকল্পনা নেই।

প্রতিবেদনটি ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তৈরি করেছেন রেডিও ফ্রি এশিয়ার সো সান অং এবং রোজেন জেরিন।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।