সাক্ষাৎকার: আর্জেন্টিনার আদালত কেন অং সান সু চির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে

ইয়ে কাউং মিন্ট মাউং, আরএফএ বার্মিজ
2025.02.25
সাক্ষাৎকার: আর্জেন্টিনার আদালত কেন অং সান সু চির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের সামনে উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টমাস ওজিয়া কুইন্টানা। ৯ মার্চ ২০২০।
এএফপি

টমাস ওজিয়া কুইন্টানা একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি এখন যুক্তরাজ্যের বার্মিজ রোহিঙ্গা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন। এই সংস্থাটি ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার একটি আদালতে মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে কুইন্টানা বেনার নিউজের সহযোগী সংবাদ সংস্থা আরএফএকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আর্জেন্টিনার আদালত মিয়ানমারের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাঁদের মধ্যে দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রকৃত নেতা অং সান সু চিও রয়েছেন।

২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানে সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করে। ধারণা করা হয় তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তবে জান্তা সরকার তাঁর সঠিক অবস্থান প্রকাশ করেনি।

আর্জেন্টিনার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত “সার্বজনীন বিচারক্ষমতা” নীতির আওতায় দেশটির আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছে, কিছু অপরাধ এতটাই জঘন্য যে হাজার হাজার মাইল দূরে অভিযুক্ত অপরাধীদেরও বিচার করা যেতে পারে।

২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের সদস্যদের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ তাঁরা সরকারের দায়িত্বে ছিলেন এবং অং সান সু চি ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের পক্ষে ছিলেন।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত অন্যান্য নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত মিয়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারের সদস্যরা সু চি এবং অন্যান্য বেসামরিক নেতাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

তাঁদের যুক্তি ছিল, এতে মিয়ানমারের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সুনাম নষ্ট করার জন্য রোহিঙ্গাদের দোষারোপ করা যেতে পারে।

কিন্তু কুইন্টানা বলেছেন, আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সু চি এবং অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে আদালতের নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত থাকে।

সুস্পষ্ট করার জন্য সাক্ষাৎকারটি সম্পাদনা করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারটি নিচে দেয়া হলো: 

আরএফএ: গত বছরের সাক্ষাৎকারে আপনি আমাদের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার আদালত অং সান সু চি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। এখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এই পরোয়ানা রোহিঙ্গাদের জন্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

কুইন্টানা: আমরা আগেই আশা করেছিলাম আর্জেন্টিনার আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে। কারণ আমরা আর্জেন্টিনায় মামলার নথিতে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। সাক্ষী এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের আদালতে নিয়ে এসেছি। অবশেষে আদালত সমস্যাটির গভীরতা অনুধাবন করেছে। এটি হলো রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা।

এই কারণে প্রসিকিউটরের আবেদন এবং রোহিঙ্গাদের নিজেদের আবেদনের পরে আদালত ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আপনি জানতে চাচ্ছেন, এই ওয়ারেন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, আমাদের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে জিজ্ঞেস করা উচিত, তারা এ ব্যাপারে কী অনুভব করছে।

আমার ধারণা রোহিঙ্গারা সত্যিই এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। কারণ এই সিদ্ধান্ত ২০১৭ সালে বার্মায় সংঘটিত গণহত্যার সত্যতাকে স্বীকৃতি দেয়।

অপরাধীকে শনাক্ত করা এবং আদালতে জবাবদিহির উদ্দেশ্যে তাঁদেরকে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ারেসে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এটি ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ।

আমি মনে করি এটি শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, সামগ্রিক বার্মিজ সম্প্রদায় এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তাঁরা সকলেই মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হাতে দশকের পর দশক ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন।

আরএফএ: আর্জেন্টিনার আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় অং সান সু চি এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হতিন কিয়াও-এর নাম রয়েছে। এই বিষয়ে মামলা দায়েরকারী রোহিঙ্গা কর্মীরা আরএফএকে জানিয়েছেন তাঁরা ২০১৯ সালে মূল দায়েরকৃত মামলায় বেসামরিক নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তাঁরা সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনা করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ওয়ারেন্টে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত দেখা যায়। আপনি কি বলবেন কী হয়েছিল?

কুইন্টানা: এব্যাপারে বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউ.কে. এবং তাঁদের আইনজীবী হিসেবে আমার অবস্থান সম্পর্কে একদম স্বচ্ছ থাকব।

আসল কথা হলো, ২০১৯ সালের অভিযোগে বার্মিজ রিফিউজি অর্গানাইজেশন ইউ.কে. সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বার্মায় কয়েক দশক ধরে, বিশেষ করে ২০১৭ সালে বার্মায় যা ঘটেছিল তা বিশদভাবে বর্ণনা করা হবে। সম্ভাব্য দায়ী ব্যক্তিবর্গ— যারা আদেশ দিয়েছেন ও যারা কার্যকর করেছেন— তাঁদের সবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত ছিল।

আমি এখানে শুধু সামরিক বাহিনীর কথা বলছি না, বরং অন্যান্য সকল ব্যক্তি, বেসামরিক ও যেকোনো নেতা যাদের কিছুটা হলেও দায়িত্ব ছিল তাঁদের কথাও বলছি।

আমরা সামরিক বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেছি, কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি ২০২১ সালে বার্মায় অভ্যুত্থানের কারণে অং সান সু চি সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন।

আমি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তিনবার বার্মায় তাঁর সাথে দেখা করেছি। আমি অং সান সু চিকে ভালোভাবে জানি। এখন তিনি কারাবাসে রয়েছেন।

আমরা ভেবেছি, আর্জেন্টিনার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রথম ধাপে সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করা সুবিধাজনক, যেহেতু তারা এখনও বার্মায় ক্ষমতায় আছে। কিন্তু আদালত এখানে অন্যভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মনে রাখবেন ২০১৭ সালে অং সান সু চি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বেসামরিক সরকার ছিল, সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি সত্ত্বেও....

এছাড়াও মনে রাখতে হবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা গুরুতর এবং পদ্ধতিগত বৈষম্যের মুখোমুখি হতে থাকে। মৌলিক জীবিকা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবার প্রাপ্যতা সীমিত হয়ে যায়।

মনে রাখতে হবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিচারের সময় (২০১৯ সালে) অং সান সু চি সামরিক বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিলেন এবং জাতিগত নির্মূল অভিযানের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন।

এই সমস্ত কারণে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তালিকাভুক্ত ২৫টি পরোয়ানার মধ্যে অং সান সু চিও রয়েছেন।

আরএফএ: জাতীয় ঐক্য সরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকা থেকে বেসামরিক নেতাদের নাম বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী হবে?

কুইন্টানা: সত্যি বলতে, কেবল রোহিঙ্গা নয়, আমরা বার্মিজ জনগণের কাছ থেকেও এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সম্পর্কে সমর্থন পাচ্ছি।

তাঁরাও কেউ কেউ বার্তা দিয়েছে, আদালত যদি অং সান সু চিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে বাদ দেয়, তাহলে আর্জেন্টিনার আদালতের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে বহির্বিশ্বে ভুল বার্তা যাবে।

সুতরাং সাধারণভাবে বার্তাগুলো পরোয়ানার তালিকাকে সমর্থন করে। আমরা জানি অন্যরা, বিশেষ করে এনইউজি (ন্যাশনাল ইউনিট গভর্নমেন্ট) তাঁকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু এটি আমাদের হাতের বাইরে। এটি আদালতের এখতিয়ার। আদালত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ, যা অভিযুক্তদের মৌলিক অধিকারকে সম্মান করবে।

এখানে প্রত্যেকেরই আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করার অধিকার থাকবে। আমি আগেই বলেছি, পরোয়ানা জারির আগে আমরা সেই চেষ্টা করেছিলাম। আমরা আদালতের সাথে দেখা করেছি এবং অং সান সু চিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে রোহিঙ্গারা কী ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে আদালতকে ব্যাখ্যা করেছি। কারণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রোহিঙ্গাদের দায়ী করা হতে পারে। কিন্তু আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা সামগ্রিক চিত্র এবং ঘটনাবলির ইতিহাস মাথায় রাখতে চায়।

আরএফএ: গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ কি এই যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য বেসামরিক নেতাদেরও (সামরিক বাহিনীর মতো) একই স্তরের দায়?

কুইন্টানা: এখানে ফৌজদারি প্রক্রিয়া সবে শুরু হচ্ছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এটি প্রথম পদক্ষেপ। এর পরে আদালত প্রত্যেক অপরাধীর প্রকৃতি এবং দায় নির্ধারণ করবে। আমাদের মতে, জাতিগত নির্মূল অভিযানের পরিকল্পনা ও নির্দেশদাতা এবং মাঠপর্যায়ে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নারী ধর্ষণ, গ্রাম পুড়িয়ে ফেলা ইত্যাদি অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর দায়িত্বের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

বেসামরিক সরকারের দায়িত্ব ভিন্ন, এবং এই গণহত্যার সাথে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার মাত্রা কী তা আদালত নির্ধারণ করবে।

আরএফএ: অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সার্বজনীন এখতিয়ারের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলো বাস্তবে গ্রেপ্তার, প্রত্যর্পণ বা দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজা দেওয়ার পর্যায়ে খুব বেশি এগোয় না। আপনি কি মনে করেন, এই মামলাটি কতদূর যাবে?

কুইন্টানা: মামলা যতদূর যেতে পারে ততদূর যেতে হবে, কারণ রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচারের জন্য চেষ্টা করছে। ন্যায়বিচারের অর্থ হল প্রকাশ্য বিচার যেখানে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিযোগ প্রকাশ করতে পারে। তারপর আদালত উপযুক্ত দণ্ড দেবে।

দেখুন, ২০১৯ সালে মামলাটি দায়েরের সময় বেশিরভাগ মানুষ অনিচ্ছুক ছিল; হতাশাবাদী ছিল। লোকেরা বলছিল "আপনি কী আশা করেন? কিছুই হবে না।" কিন্তু বাস্তবতা হলো এই বছরগুলোতে অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে।

প্রথমত, রোহিঙ্গা জনগণের ক্ষমতায়ন। তারা ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য এবং তারা ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা। এখন একটি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি ইন্টারপোলে যাবে। এই আন্তর্জাতিক সংস্থা জড়িত হবে। আমরা সকল অংশীদারদের সাথে কঠোর পরিশ্রম করে যাব।

মূলত, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে উৎসাহিত করি। জাতিসংঘ বহু বছর ধরে সামরিক বাহিনীর অপরাধ ও রোহিঙ্গা গণহত্যা নিন্দা করে রেজুলেশন পাশ করে আসছে।

এখন সেই সমস্ত দেশের সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি সাড়া দেওয়ার এবং পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। তাই আমরা দেখব অগ্রগতি কীভাবে হয়। এই অপরাধীদের সাথে কী হবে আমরা দেখব। সামরিক বাহিনীর উচিত অবিলম্বে অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়া যাতে তিনি এখানে মামলার পক্ষে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের কাজ শুরু করতে পারেন।

অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জ এবং বাধা রয়েছে। তবে তাঁদের জন্য অনেক সুযোগও রয়েছে। আমরা জবাবদিহিতার বাধা অপসারণের চেষ্টা করছি। এই অস্থির পৃথিবীতে যেখানে সবকিছুই প্রশ্নের মুখে, সেখানে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা –যা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।