মার্কিন প্রতিবেদন: গত বছরও রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়েছেন

অ্যালেক্স উইলেমিনস, আরএফএ
2024.04.23
ওয়াশিংটন ডিসি
মার্কিন প্রতিবেদন: গত বছরও রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়েছেন বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবির পর কক্সবাজারের শাহ পরীর দ্বীপে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা নারী। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
[এপি]

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২০২৩ সালেও ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পীড়নমূলক অভিযানের মুখে পালিয়ে এসে ২০১৭ সাল থেকে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। এখনো মিয়ানমারে রয়েছেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা, যাদেরকে জাতিসংঘ ‘রাষ্ট্রহীন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সোমবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, মিয়ানমারে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা অব্যাহতভাবে “জাতিগত পরিচয়ের কারণে গুরুতর বৈষম্যের” শিকার হচ্ছেন।

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ জাতিগত এই সংখ্যালঘুদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং প্রায়শই তাঁরা দেশটির সেনা অভিযানে উল্লেখযোগ্যভাবে টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট উত্তর রাখাইনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ জন সদস্য নিহত হন।

এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও “স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী” রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে ব্যাপকহারে নিপীড়ন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

এই ধ্বংসযজ্ঞ চলাকালে রোহিঙ্গারা “বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার এবং হাজার হাজার বাড়িঘর ও কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেবার মতো ঘটনার শিকার হন।”

ওইসব নিপীড়ন ও নির্যাতনমূলক ঘটনায় ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, যা প্রমাণ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে “জাতিগত নিধনের” ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।