নতুন ঘর পাচ্ছে এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবার
2018.09.07
কক্সবাজার
বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত কুতুপালং-বালুখালি মেগাক্যাম্পের কমপক্ষে এক লাখ পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বর্ষায় প্লাবিত বা ভূমিধ্বসের ঝুঁকিতে থাকা এসব পরিবারকে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
কক্সবাজার জেলার উখিয়ার সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড় কেটে গড়ে তোলা রোহিঙ্গা শিবিরে গত তিন মাস ধরে এই পুনর্বাসনের কাজ চলছে।
“ইতিমধ্যে ৪০ হাজার পরিবারকে স্থানান্তর করা হয়েছে,” উল্লেখ করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বেনারকে বলেন, “খুব দ্রুতই বাকি ৬০ হাজার পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসস্থল থেকে নিরাপদ বাসস্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।”
তিনি জানান, ক্যাম্পের ঘরগুলো আগের তুলনায় টেকসই হচ্ছে। পলিথিনের বদলে বাঁশের চাটাইয়ের সাথে ‘ত্রিপল’ ব্যবহারের কারণে এগুলো প্রবল বর্ষা ও বাতাসের মধ্যেও টিকে থাকবে।
প্রসঙ্গত, শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার গঠিত জাতীয় টাস্ক ফোর্স এবং বাস্তবায়নে রয়েছে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ক সংস্থা আইএসসিজি।
গত সপ্তায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্প জুড়ে নতুন ঘর তৈরির কাজ চলছে। অনেক জায়গায় নতুন করে পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে এসব ঘর। একইসঙ্গে নতুন নলকূপ স্থাপন এবং পায়খানা নির্মাণের দৃশ্যও চোখে পড়েছে।
পাহাড় কেটে তৈরি করা মাটির সিঁড়ি, বাঁশ দিয়ে বানানো রেলিং ও সাঁকোর সাহায্যে নতুন অনেক রাস্তাও তৈরি করা হচ্ছে। শরণার্থী শিবিরের প্রায় প্রতিটি রাস্তার আশেপাশে ইট, বালু, বাঁশ, চাটাইয়ের মতো বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে।