নতুন ঘর পাচ্ছে এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবার

শরীফ খিয়াম
2018.09.07
কক্সবাজার
180907_SS_01.jpg

নতুন ঘর নির্মাণের জন্য পরিমাপ অনুযায়ী কাটা হচ্ছে বাঁশের চাটাই। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_02.jpg

দুর্গম পাহাড়ের ওপরে কাঁধে করে ইট নিয়ে যাচ্ছেন এক রোহিঙ্গা নির্মাণ শ্রমিক। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_03.jpg

রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন টয়লেট। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_04.jpg

রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_05.jpg

শরণার্থী শিবিরে নতুন ঘর তৈরিতে ব্যস্ত রোহিঙ্গারা। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_06.jpg

পাহাড় কেটে মাটির সিঁড়ি, বাঁশ দিয়ে বানানো রেলিং ও ব্রিজের সাহায্যে নতুন অনেক রাস্তাও তৈরি করা হচ্ছে মেগাক্যাম্প এলাকায়। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_07.jpg

কুতুপালংয়ের ইরানি পাহাড়ে রাখা গৃহনির্মাণ সামগ্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন এক শরণার্থী। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

180907_SS_08.jpg

ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে কুতুপালং-বালুখালি মেগাক্যাম্প। ৩১ আগস্ট ২০১৮। শরীফ খিয়াম/বেনারনিউজ

বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত কুতুপালং-বালুখালি মেগাক্যাম্পের কমপক্ষে এক লাখ পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বর্ষায় প্লাবিত বা ভূমিধ্বসের ঝুঁকিতে থাকা এসব পরিবারকে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।

কক্সবাজার জেলার উখিয়ার সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড় কেটে গড়ে তোলা রোহিঙ্গা শিবিরে গত তিন মাস ধরে এই পুনর্বাসনের কাজ চলছে।

“ইতিমধ্যে ৪০ হাজার পরিবারকে স্থানান্তর করা হয়েছে,” উল্লেখ করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বেনারকে বলেন, “খুব দ্রুতই বাকি ৬০ হাজার পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসস্থল থেকে নিরাপদ বাসস্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।”

তিনি জানান, ক্যাম্পের ঘরগুলো আগের তুলনায় টেকসই হচ্ছে। পলিথিনের বদলে বাঁশের চাটাইয়ের সাথে ‘ত্রিপল’ ব্যবহারের কারণে এগুলো প্রবল বর্ষা ও বাতাসের মধ্যেও টিকে থাকবে।

প্রসঙ্গত, শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার গঠিত জাতীয় টাস্ক ফোর্স এবং বাস্তবায়নে রয়েছে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ক সংস্থা আইএসসিজি।

গত সপ্তায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্প জুড়ে নতুন ঘর তৈরির কাজ চলছে। অনেক জায়গায় নতুন করে পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে এসব ঘর। একইসঙ্গে নতুন নলকূপ স্থাপন এবং পায়খানা নির্মাণের দৃশ্যও চোখে পড়েছে।

পাহাড় কেটে তৈরি করা মাটির সিঁড়ি, বাঁশ দিয়ে বানানো রেলিং ও সাঁকোর সাহায্যে নতুন অনেক রাস্তাও তৈরি করা হচ্ছে। শরণার্থী শিবিরের প্রায় প্রতিটি রাস্তার আশেপাশে ইট, বালু, বাঁশ, চাটাইয়ের মতো বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।